দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষে নিজ গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি হাটহাজারীর বাথুয়া গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে যান।
সেখানে তিনি দাদা-দাদীসহ প্রয়াত স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন এবং পরে মাঠে সমবেত গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।
বক্তব্যে ড. ইউনূস নিজের শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিচারণ করেন এবং গ্রাম্য ছড়া, আঞ্চলিক ভাষায় সংলাপ ও হাস্যরসের মাধ্যমে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করেন। তিনি বলেন, “শৈশবের প্রতিটি স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই গ্রামে। সবার সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগছে, আমার জন্য দোয়া করবেন।”
চাটগাঁইয়া ভাষায় তিনি বলেন, “আবদুর রশীদ ঠেন্ডলের ঠাট, নজু মিয়া হাট, দুলা মিয়ার দাদার বাড়ি, শোলক মিয়ার মোটরগাড়ি”—এমন ছড়া দিয়ে তিনি স্মৃতিময় দিনগুলোকে মনে করিয়ে দেন। বলেন, “তখনকার দিনে আমাদের দাদারা মোটরগাড়ি নিয়ে আসতেন—ভাবতেই ভালো লাগে। এখন তো নজুমিয়া হাটই শহর হয়ে গেছে মনে হয়।”
এর আগে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম শাখা ও জোবরা জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সকালেই তিনি বিশেষ বিমানে চট্টগ্রামে পৌঁছে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) পরিদর্শন করেন এবং বন্দর ও নৌপরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পরে সার্কিট হাউজে বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনসংক্রান্ত সভায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জমির দলিল হস্তান্তর করেন। দিনের শেষভাগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।